বিভিন্ন সময় আমরা বংশগত রোগ এই শব্দটি শুনে থাকি। মূলত যখন পর্যায় ক্রমে একটি পরিবারের মধ্যে একই প্রকার রোগ এর প্রদুর্ভাব দেখা যায়। তখন আমরা ধরে নেই যে সেই পরিবারে যে রোগ টি রয়েছে। সেটি হল তাদের বংশগত রোগ। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জিন থেরাপির মাধ্যমে কোন রোগ নিরাময় করা হয় জেনে নিন। তবে আপনি কি জানেন, এই বংশগত রোগ কাকে বলে। এবং কেন একটি বংশের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রদুর্ভাব দেখা যায়। তো আপনি যদি না জেনে থাকেন, তাহলে কোন সমস্যা নেই। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে এই বংশগত রোগ কাকে বলে। এবং এই বংশগত রোগ থেকে প্রতিকারের বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।
Table of Contents
বংশগত রোগ কাকে বলে?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে জিনগত রোগ কে আমরা বলে থাকি বংশগত রোগ। মূলত যখন কোন একটি নির্দিষ্ট রোগ নির্দিষ্ট একটি পরিবারের লোকদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। তখন সেই বিশেষ রোগ কে বলা হয়ে থাকে বংশগত রোগ। আর এই ধরনের বংশগত রোগ হওয়ার একটি কারণ রয়েছে। আর সেই কারণটি হল জিনে মিউটেশন। মূলত এর ফলেই একটি পরিবারের মধ্যে জিনগত রোগ বিদ্যমান থাকে। এবং পূর্বপুরুষের মধ্যে থাকা রোগ গুলো পরবর্তী প্রজন্মে আসা মানুষদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। আর সেই কারণে এই ধরনের রোগ কে আমরা বংশগত রোগ বলে থাকি।
জিন থেরাপির মাধ্যমে কোন রোগ নিরাময় করা হয়?
যেহেতু উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, বংশগত রোগ মূলত জিনগত রোগ কে বলা হয়ে থাকে। সেহেতু আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি হলো যে, জিন থেরাপির মাধ্যমে কোন রোগ নিরাময় করা হয়। তো এই বিষয়ে প্রসঙ্গে আমি আপনাকে বলব জিন থেরাপির মূলত তখনই করা হয়। যখন কোন একজন ব্যক্তি মধ্যে এই ধরনের বংশগত রোগ এর প্রদুর্ভাব দেখা যায়।
একটি প্রাণীর দেহ কিন্তু অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়। আর কোন একটি প্রাণীর ভিতরে থাকা এই অসংখ্য কোষ গুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে জিন বহন করে থাকে। যার ফলে এই আলাদা আলাদা কোষ গুলোর বৈশিষ্ট্য আলাদা রকমের হয়। আর যখন কোষের মধ্যে থাকা এই জিন গুলোর মধ্যে কোন প্রকার সমস্যা হয়। তখন কিন্তু সেই প্রাণীর দেহ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রান্ত হয়। তো যখন কোন একটি মানুষের দেহে এই ধরনের জিনগত সমস্যা হয়। তখন মূলত সেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জিন থেরাপি দেওয়া হয়।
মূলত এই জিন থেরাপি হলো বিশেষ এক ধরনের চিকিৎসা। যে চিকিৎসার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মধ্যে থাকা বংশগত রোগ থেকে নিরাময় করা সম্ভব। মূলত এই থেরাপির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মধ্যে যে জিনের কারণে বংশগত রোগ বিদ্যমান রয়েছে। সেই জিন কে বাদ দেওয়া হয়। যার ফলে উক্ত ব্যক্তি সেই বংশগত রোগ থেকে মুক্তি পায়।